দুই লাখ বাঙালি হাওড়ার ট্রেনের জন্য আকুল

274

২৫ বছর ধরে দুই জেলার সংগ্রাম

বিজেপি সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে প্রস্তাব আটকে রেখেছে

চন্দ্রপুর:

চন্দ্রপুর-বল্লারপুর থেকে হাওড়া সরাসরি ট্রেনের লড়াই শেষ হচ্ছে না। গদচিরোলি ও চন্দ্রপুর জেলায় বসবাসকারী প্রায় ২ লাখ বাঙালি ২৫ বছর ধরে এই দাবি করে আসছে। নতুন ট্রেন না হলে ট্রেনের মেয়াদ বাড়িয়ে সমস্যা সমাধানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কিন্তু জনগণ এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে বিজেপি বাঙালি সম্প্রদায়ের ভোটকে শুধুমাত্র তাদের অবিরাম আশ্বাস দিয়েই ব্যবহার করেছে।

*কেন সরাসরি হাওড়া ট্রেনের প্রয়োজন?*
এখানে বসবাসকারী মানুষদের কলকাতা যেতে প্রথমে নাগপুর থেকে 3.5 ঘন্টা ভ্রমণ করতে হয়। তারপর সেখান থেকে ট্রেন ধরতে হবে। অন্য পথটি গোন্দিয়া হয়ে। সেখানে পৌঁছাতে প্রায় 4.5 ঘন্টা সময় লাগে। তারপর তারা একটি ট্রেন পায়। উভয় স্থানে রাতে অপেক্ষা করে ঘুম হারাতে হয় মানুষকে। এতে শিশু ও বৃদ্ধদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
*আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা, ব্যবসা ও তীর্থযাত্রায় বাধা*
দুই জেলারই হাজার হাজার মানুষের আত্মীয়স্বজন কলকাতায়। অনেকে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ, কালী ঘাট এবং পুরী জগন্নাথের মতো বিখ্যাত স্থানগুলিতে তীর্থযাত্রার জন্য যান। কেউ কেউ ব্যবসার উদ্দেশ্যে যান। প্রতি বছর হাজার হাজার মতুয়া অনুসারী ঠাকুরবাড়িতে আসেন। এমন পরিস্থিতিতে এখান থেকে সরাসরি হাওড়া ট্রেনও রেল প্রশাসনের জন্য উপকারী হতে পারে।
*বিষয়টি রেলমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে!*
বাংলাভাষীরা যে চেষ্টা করেনি তা নয়! তারা প্রতিটি মাধ্যমে নেতাদের কাছে পৌঁছেছেন। বিষয়টি রেলমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে। কিন্তু বাঙালি সম্প্রদায়ের ডাকে কেউ কান দেয়নি। সবাই মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্প্রদায়ের ভোট ব্যবহার করতে থাকে। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রেনটি নাগপুর হয়ে বাল্লারপুর হয়ে বা দক্ষিণ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ হয়ে হাওড়া পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
*কেন এই সমস্যা মোদীজির অধীনে অসম্ভব হয়ে গেল?*
‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। তিনি অবিলম্বে হিন্দুদের সমস্যার সমাধান করছেন। এমন দাবি করা হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন মোদীজি। বাঙালী সমাজও হিন্দু, তাহলে এখানে তাদের সাথে অবিচার কেন? মোদীজির শাসনে হাওড়ায় সরাসরি ট্রেন কেন অসম্ভব? এসব মানুষ এখন এমন প্রশ্ন করছে। কারণ বাঙালি সমাজকে বিজেপির পকেট ভোট বলে মনে করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here